Type Here to Get Search Results !

ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

আপনি কি কখনো ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেছেন ? আমরা যখনই ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি তখনই  অগ্রগতি ও উন্নতি চিন্তা করি।  অগ্রগতি হবে এটা সত্য।  অগ্রগতির দুটি ধরন আছে  এর মধ্যে একটি ঘটবে তাও সত্য  একটি ধরন হচ্ছে অনুভূমিক অগ্রগতির বিস্তার । এর মানে হলো যে জিনিসের চাহিদা আছে , যা দরকার তার কেবল নকল করা   অনুভূমি অগ্রগতি বোঝা বেশ সহজ কারণ এটা কেমন হবে তা আগে থেকে  জানি  তবে অগ্রগতির দ্বিতীয় ধরনটি একটু ভিন্ন এটি হচ্ছে প্রগাঢ় অগ্রগতি  মানে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা একে বলে শূন্য থেকে এক এ গমন  শিকড় থেকে শিখরে ।




অগ্রগতিকে চিন্তা করা একটু কঠিন কারণ এটা এমন কিছু যা কেউ আগে করেনি  যদি আপনি একটি টাইপ রাইটার নেন এবং আরো ১০০ টি টাইপ রাইটার নির্মাণ করেন তবে এটা হবে অনুভূমিক অগ্রগতি  আর যদি একটি টাইপ রাইটার নেন এবং একটি ওয়ার্ড প্রসেসর নির্মাণ করেন তবে উলম্ব অগ্রগতি ।  অনুভূমির অগ্রগতি মানে এক থেকে মতে গমন।

আপনি কি গেম অফ ফ্রান্স দেখেছেন ? কিছু সেনাবাহিনী থাকে এই মৃত সেনারা  একজনের পিছনে একজন হাঁটতে থাকে তখন তারাও হাটে নেতা যখন থামে তাও থামে নকল করা ব্যাপারটা ঠিক একই রকম যা আছে তাই করবেন একই পথে হেটে যাবেন একঘেয়ে অবিরাম একটি যাত্রা বৃহৎভাবে  অনুভূতি হচ্ছে বিশ্বায়ন। 

বিশ্বায়নের যেমনটি হয় বিশ্বের কোথাও একটি পদ্ধতি বা ব্যবস্থা যদি সে জায়গায় সমস্যা সমাধান করতে পারে তবে ধরে নেওয়া যায় যে সেই পদ্ধতি বা ব্যবস্থা সারা বিশ্বেও কাজ করবে।  ধরুন,  তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য ভালোভাবে কাজ করল। এখন বলা হলো সারা বিশ্বের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করা হোক এটাই হচ্ছে বিশ্বায়ন বিশ্বায়নের আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে চীন তাদের আগামী ২০ বছরের পরিকল্পনা হচ্ছে আজকের আমেরিকার মতো হবে।

চীনারা এই পরিকল্পনা নিয়ে খুব দ্রুত ও সরাসরি এগিয়ে চলছে, সবকিছু নকল করে যাচ্ছে ক্ষমা চিহ্ন যা কিছু উন্নয়নশীল বিশ্বের দরকার তাও নকল করে দিচ্ছে ১৯ শতকের রেল ব্যবস্থা, বিশ শতকের সেরা ত্বক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা এমনকি পুরো এক শহরেও নকল করে ফেলেছে ক্ষমা চিহ্ন এতে করে তারা হয়তো কয়েক ধাপ বাদ দিয়ে উপরে উঠেছে ।  

 এবার বলি উল্লম্ব বা প্রগাঢ় অগ্রগতির কথা ধার চিহ্ন শূন্য থেকে এগিয়ে যাবে যে অগ্রগতি তা হচ্ছে প্রযুক্তি ক্ষমা চিহ্ন এই একটি শব্দ বা যা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির যে অসামান্য অবদান গড়ে উঠেছে তার কারণ সিলিকন ভ্যালিও মূলধন হচ্ছে প্রযুক্তি  এখন প্রযুক্তি বলতে যে কম্পিউটারের মধ্যে আটকে থাকতে হবে তা নয় প্রযুক্তি মানে কোন জিনিস বা কোন কাজ করার জন্য নতুন উত্তম পন্থা সৃষ্টি করা ।  

প্রযুক্তির যেহেতু অগ্রগতির বিভিন্ন বিভিন্ন দিক সেহেতু সম্ভব আবার যেকোনো একটি ঘটতে পারে অথবা কোনটি ঘটবে না এমনও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ১৮১৫ সাল থেকে  ১৯১৪ সাল পর্যন্ত ১০০ বছরে প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের দ্রুত অগ্রগতির ঘটেছে আবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি ঘটেছে তবে মিশনের গতি ততটা দ্রুত হতে পারেনি এরপর ১৯৭১ সালের পর থেকেই দ্রুত বিশ্বায়ন ঘটেছে। 

আজকের বিশ্বায়নের যুগে আগামী দশক কেমন হবে তা অনুমান করা খুবই সহজ হয়ে পড়েছে।  সামনে কেবল একই রকম জিনিস দেখা যাচ্ছে এমনকি অনেকেই বলে যে প্রযুক্তির ইতিহাসেও শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে । এখন কি করার বর্তমান বিশ্ব ২ ভাগে বিভক্ত একটি উন্নত দেশ যারা সবকিছু উদ্ভাবন করে ফেলেছে । আরেকটি উন্নয়নশীল দেশ যারা উন্নত দেশ থেকে প্রযুক্তি নকল করা ধান্দায় আছে বা অপেক্ষায় আছে এই পথে কি হবে ? কিন্তু আমরা মনে হয় উন্নতির করার জন্যই  এটাই যে একমাত্র পথ তা সত্য নয় উন্নতি করার জন্য এই পথ যথেষ্ট নয়  অনেকেই মনে করে বিশায়ন দিয়ে পৃথিবীকে সঙ্গে করা হবে বেঁধে ফেলা হবে।

পৃথিবীর ভবিষ্যৎ হচ্ছে বিশ্বায়ন  হতে পারে আবার নাও হতে পারে এ ধরনের বৈপরীত্য মূলক প্রশ্নের জন্য আমার উত্তর হচ্ছে পৃথিবী কি ভবিষ্যৎ বিশ্বায়ন আসলে দাস নয়  কম চিহ্ন হচ্ছে এর ঠিক বিপরীত, বিষায়নের চেয়ে প্রযুক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারি , প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ছাড়া যদি চিনারা তাদের জানালে উৎপাদন দ্বিগুণ করে তবে এর সাথে সাথে তারা বায়ু দূষণ দ্বিগুণ করবে যদি ভারতের ১০০ জনের একজন ব্যক্তিও আমেরিকার একজন আজকের প্রযুক্তি দিয়ে যেভাবে বাস করে সেভাবে বাস শুরু হয় তবে পরিবেশের জন্য সর্বনাশ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে রাখার জন্য আগুন জ্বালিয়ে রাখা হয় এবং চিমুনি ব্যবহার করা হয় ধোয়া যাওয়ার জন্য প্রধান দেশেও ঘরের বাইরে আগুন জ্বালাতে হবে প্রযুক্তি দরকার  উদ্ভাবন করতে হবে ।


আরো পড়ুনঃ ক্যারিয়ার কি ?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad